সোমবার, জুলাই ১৮, ২০১৬

নারীর অঙ্গে শাড়ী

লেখাটি হাস্যরসবোধহীনদের জন্য নয়
********************************************
"নারীর অঙ্গে শাড়ী
সবচেয়ে মনোহর"
-এই উক্তি করেছিল
কোন কামুক মধুকর!
তাকে কাছে পেলে
কষে মেরে এক চড়,
বলতাম, ব্যাটা ভন্ডের গুরু
তুইই শুধু শাড়ী পড়!
কেমন এ পোশাক সেলাই-বিহীন
দেহখানি রাখে পেঁচিয়ে,
সাবলীল ভাবে চলাত যায়না
সহসা আব্রু বাঁচিয়ে!
বেখেয়াল হলে একটু খানিক
আঁচলটা যায় সরে,
অযাচিত ভাবে তনুলতাখানি
পড়ে কারো কুনজরে!
অফিসে, বাজারে, যানবাহনে
গৃহস্থালীর কাজে,
বিরক্তিকর পরিধেয় শাড়ী
বারবার ফেলে লাজে!
দৌড়ানো কিবা সাঁতার-কাটা
সম্ভব নয় শাড়ীতে,
কামিনীর সাঁজে রং-চং মেখে
মানায় সে শুধু বাড়িতে!
পড়তে ঝামেলা, সময় নষ্ট
কতনা ম্যাচিং লাগে!
দেহের ভাঁজেতে জড়ানো বসনে
পুরুষের পশু জাগে!
বুঝে বা নাবুঝে কিংবা বোঝাতে
কেনযে অবুঝ নারী!
জড়ায় অঙ্গে বিবিধ রঙ্গে
পুরুষের প্রিয় শাড়ী!
কতটুকুই বা ঢাকে শরীরের
ডান-বাম-পিঠ খোলা,
পুরুষতান্ত্রিক রমনী-বসন
পুরুষকে দিতে দোলা!
এটা পরিধেয় নয়তো কোনো
পরিনয় সহযোগী,
শাড়ী বর্জনে নারীর বিজয়
যদি নাহয় সে ভোগী!
কবির যুক্তি পাবে কটুক্তি
তবু একথা নয়কি সত্যি!
"আসলে আব্রু ঢাকেনা কখনো
শাড়ীতে এক রত্তি!
পরিধেয় যদি
শালীনতা মেনে হয় -
তবে নিশ্চই নারীর তনুতে
শাড়ীতে কভুতা নয়!

*********************************
শাড়ী'র সাথে লুঙ্গি ও ধুতি ফ্রী
*********************************
পোশাক - তা সে
শাড়ী বা লুঙ্গি কিবা ধুতি,
হোক না তা সে
সিল্ক বা শিফন কিবা সুতি!
আলগা বসন গিট্টু কসন
একটু ছুলেই খোলে,
এ কোন ধরন, বাংলা বরণ
নর-নারী আনন্দতে দোলে!
ঘামাচি বা চুলকানিতে
পোশাকগুলো বরই সুখকর,
আরো বোনাস মেলে যখন
অন্তরতে আসে মধুকর!
নারী বলে লুঙ্গি ভালো
পুরুষ বলে শাড়ী,
এর পিছনে একটি কারণ
পোশাকগুলো খোলে তাড়াতাড়ি!
লুঙ্গি-শাড়ী-ধুতি'র প্যাঁচে
সবাই সুখে থাক,
তাড়াতাড়ি খুলে গেল
বলো, "চিচিং ফাঁক !!"

২৫.১১.২০১২  © প্রদ্যোত

কোন মন্তব্য নেই: