মঙ্গলবার, জুলাই ১৯, ২০১৬

কইয়া দিমু! (পার্ট - ০১)

আমাগো দ্যাশের জ্ঞানপাপীগো
ইতিহাস চর্চার ধরন দেইখ্যা
বড়ই শরম লাগে!
হুজুগে বাঙালি নাম কি আর
এমনি এমনি হইছে!
"অজ্ঞানম তিমিরান্ধস্য, জ্ঞানম যেন স্বলাকায়ো" -
এই কথার মানে হইলো,
"অজ্ঞানীর (মুর্খ্যের) কাছে
যা তিমির-এর মত অন্ধকার,
জ্ঞানীর কাছে তা স্ব-মহিমায় আলোকিত"
আর আমাগো কাট-পিছ্
খাওইন্যা ইতিহাসবিদরা কইবো,
"অজ্ঞানের কাছে যা তিন-মন দশ-সের,
জ্ঞানীর কাছে তা সোলার মতো হালকা!"
পার্থক্য বোঝা গ্যালো!?
হ! মিনিং কাছাকাছি
কিন্তু গভীরতায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য!
"পার্থক্য" বুঝাইতে গ্যালেতো আর এক বিপদ!
উচ্চারণ করবা "হাইত্থুক্য"!
কেউ যদি কয়, ভাই! ওইডা "হাইত্থুক্য"না, "পার্থক্য"!
তারপর কইবা, আরে! ওই হইলো!
"হাইত্থুক্য" আর "হাইত্থুক্য'র" মইধ্যে
কোনই "হাইত্থুক্য" নাইক্যা!
তোমরাতো উচ্চারণ শিখো নাই!
আমার মতো আঞ্চলিক বাংলায় কতা কও!
আমার জাত-ভাই, বাঙালি না?
তোমাগো! সরি!
আমাগো তো জিহবা আরষ্ট!
ছোট্ট কাল থিকা বিভিন্ন ভাষা শিখতে গিয়া
সব আউলাইয়া গ্যাছে!
কুয়ার ব্যাঙরে যদি জিগাই,
পৃথিবীডা দ্যাখতে ক্যামুন?
হ্য়ে কুয়ার বর্ণনাই দিবো!
তোমরা ইতিহাস চর্চা করো, না!?
ফাইজলামি করোনের আর
জায়গা পাও না!?
গাছের মাঝখানের ডালে বান্দর ঝোলা ঝোলো!
ইতিহাস লইয়া কতা কইতে হইলে
গাছের শিকড়ের কাছে যাও, বুঝছ!
হিস্টিরির তো তোমরা হিস্টিরিয়া বানাইয়া দিছো!
ধূর ছাই! কাগো কি কই!
গত তেতাল্লিশ বছরের ইতিহাসরেই তো
চিপরাইয়া তিতা বানাইয়া ফ্যালাইছো!
আমারে খ্যাপাইওনা কইলাম!
হাটে হাড়ি ভাইঙ্গা দিমু কিন্তু!
সব জাইন্যা ফ্যালাইছি!
ইতিহাসের মিলিমিটার, সেন্টিমিটার সব!
একটু নাড়া দিবা তো বার্স্ট (Bang!) ... ... (চলবে)

২৯.১২.২০১২  © প্রদ্যোত

কোন মন্তব্য নেই: